মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত কাউন্সিলর ও নেত্রী অং সান সু চি বিরুদ্ধে নতুন ঘুসের অভিযোগ এনেছে সামরিক জান্তা সরকার। বৃহস্পতিবার সু চির আইনজীবী জানিয়েছেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে সু চি রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চত নয়। খবর-সিএনএর।

বুধবার রাতে মিয়ানমারের সেনাশাসিত টিভিতে এক ব্যবসায়ী দাবি করেছেন কয়েক বছরে সু চিকে সাড়ে ৫ লাখ মার্কিন ডলার ঘুস হিসেবে দিয়েছিলেন।

গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত ও তাকে গৃহবন্দি করে সামরিক বাহিনী। এরপর সু চির বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা হয়। এ ঘটনার পর ছয় লাখ ডলার ঘুষ ও স্বর্ণ গ্রহণের অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়।

মং ওয়াইক নামের ওই ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, তার ব্যবসা সুন্দরভাবে চালানোর জন্য তিনি সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীদের ওই ঘুস দিয়েছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে তিনি চার ধাপে এই ঘুস দিয়েছেন। তবে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।  রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হবে।  এ জন্য দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল হতে পারে।